• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ রোগী ও স্বজনরা

  • ''
  • প্রকাশিত ০৭ মে ২০২৪

টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:


মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ যেন ঔষধ কম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য দিনদিন বেড়েই চলেছে।

ঔষধ কম্পানির নাছোড়বান্দা প্রতিনিধিদের চাপে ডাক্তারদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র তাদের দেখাতে বাধ্য হচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।এতে রোগীদের গোপনীয়তা রক্ষা হচ্ছে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং যথাযথ উর্ধতণ কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য দিনদিন বেড়েই চলেছে। এতে হাসপাতালে চিকিৎসার পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।

সাংবাদিকের পরিচয় গোপন রেখে সোমবার (৬ মে) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির সামনে জটলা বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের কারো কাঁধে ব্যাগ ঝোলানো, কারো হাতে ব্রিফকেস এবং ডাক্তারদের জন্য আনা নানা রকমের উপহার সামগ্রী। রোগী বা স্বজনরা হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে আসা মাত্রই হাতে থাকা ঔষধ ব্যবস্থা টান দিয়ে নিয়ে ছবি তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরছে সবাই। এ যেন বাংলা সিনেমার কোনো নায়ক-নায়িকার ছবি তুলতে ব্যস্ত সবাই। এতে রোগী ও তার স্বজনরা ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এবং উপজেলার এ হাসপাতালটির পেছনে গেলে দেখা যায় তারা তাদের সাথে থাকা মটরসাইকেল রেখে এমন ভাবে জটলা বানিয়েছেন যা দুর থেকে দেখলে মনে হবে মটরসাইকেলের গ্যারেজ।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার এবং ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে কর্মচারীদের সঙ্গে ঔষধ কম্পানির প্রতিনিধিদের গভীর সখ্যতা রয়েছে। কোনো রোগী ও তাদের স্বজনরা ডাক্তারদের চেম্বার থেকে বের হতেই তাদের ঘিরে ধরে মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভরা। আমরা যারা রোগী, আমাদের পার্সোনালিটি আছে বিশেষ করে নারী রোগীদের। এখানে নারী রোগীদের গোপনীয়তা বলতে কিছুই নেই। ‘এগুলো কর্তৃপক্ষ দেখে না, কারণ তারা অন্ধ’, ঔষধ কোম্পানি থেকে মাসে ভাতা পায় ডাক্তাররা তাই তারা তাদের কিছু বলে না, কারণ বলতে গেলে ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে।

স্থাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, ঔষধ কম্পানির প্রতিনিধিদের কাছ থেকে মাসিক মাসোহারা ও উপহারসামগ্রী নিয়ে ডাক্তাররা নিম্নমানের ওষুধ লিখে থাকেন বলেও অভিযোগ উঠেছে এ সরকারি হাসপাতালটির ডাক্তারদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও নানা অনিয়ম রয়েছে, চিকিৎসা সেবার জন্য আসলে ঠিকমতো ডাক্তার পাওয়া যায় না হাসপাতালটিতে এতে করে অন্যত্র জেলা সদর হাসপাতালে অথবা বেসরকারি প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রণয় মান্না দাস বলেন, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি ও নিষিদ্ধ। আমরা কোম্পানি গুলো কে নিষেধ করে দিয়েছি তাদের এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে। নির্দেশনা না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, আপনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন, আমি কথা বলতেছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads